ইন্টারনেট এর জনক কে তা হলোঃ রবার্ট ই. কান এবং ভিনটন জি কার্ফ । কোন একজন ব্যক্তি ইন্টারনেট আবিষ্কার করেনি। এটি ধাপে ধাপে উদ্ভাবিত হয়েছে। তবে মূলত দুই ব্যক্তিকে ইন্টারনেটের আবিষ্কারক ধরা হয়,
এই দুই জনই (ইন্টারনেট এর জনক কে রা) Transmission Control Protocol (TCP) and the Internet Protocol (IP) এই দুইটি প্রোটোকল আবিষ্কার করেন যা ইন্টারনেট আবিষ্কারের মূলে ।
ইন্টারনেট (Internet) ইন্টারনেট হলাে পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ইন্টারনেটকে নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটওয়ার্কও বলা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেকগুলাে নেটওয়ার্কের সমন্বিত ব্যবস্থাই ইন্টারনেট। ইন্টারনেট্টের উপাদান হলাে এর ব্যবহারকারী, তথ্য, টেলিযােগাযােগ ব্যবস্থা, কম্পিউটার প্রভৃতি। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভ্যন্তরীণ যােগাযােগ ব্যবস্থা গড়ে তােলার উদ্দেশ্যে এর পত্তন ঘটে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক হিসেবে ইন্টারনেটকে অভিহিত করা হয়ে থাকে। কারণ বর্তমানে ইন্টারনেট সারা পৃথিবীকে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। ইন্টারনেটে সংযুক্ত কোনাে কম্পিউটার বিশ্বব্যাপী ছড়িতে থাকা অসংখ্য সার্ভার ও কম্পিউটার থেকে তথ্য অ্যাকসেস করতে পারে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি?
একুশ শতক এবং তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বিগত শতাব্দীতে সম্পদের যে ধারণা ছিল, একশ শতকে এসে সেটি পুরােপুরি পাল্টে গেছে। পৃথিবীর সবাই। মেনে নিয়েছে যে, একুশ শতকের সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। যার অর্থ কৃষি, খনিজ সম্পদ কিংবা শক্তির উৎস না শিল্প কিংবা বাণিজ্যও নয়- এখন পৃথিবীর সম্পদ হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তার কারণ শুধু মানুষই জ্ঞান অনে করতে পারে, জ্ঞান ধারণ করতে পারে এবং জ্ঞান ব্যবহার করতে পারে। পৃথিবীর সম্পদের এই নতুন ধারণাটি সারা পৃথিবীতেই মানুষের চিন্তাভাবনার জগতটি পাল্টে দিয়েছে।
পৃথিবীর মানুষ এখন একুশ শতকের মুখােমুখি হওয়ার জন্যে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আমরা সবাই অনুভব করতে পারছি একশ শতকের পৃথিবীটা আসলে জ্ঞানভিত্তিক একটা অর্থনীতির ওপর দাড়াতে শুরু করছে।
একুশ শতকে এসে আমরা আরাে দুটি বিষয় শুরু করেছি- যার একটি হচ্ছে। Globalization, অন্যটি হচ্ছে Internationalization।
এই দুটি বিষয় তুরান্বিত হওয়ার পেছনের কারণটি হচ্ছে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি। যেকোনাে দেশের ভৌগােলিক সীমানা বিশ্বায়নের কারণে নিজের দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যাপারটি বােঝার জন্যে আমরা আমাদের বাংলাদেশের উদাহরণটিই। নিতে পারি।
“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুফল কি তা জানতে এইখানে ক্লিক করুন“