আদার ২৫ টি উপকারিতা ।আদা যে শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ ও ঘ্রান বানানোর কোন মসলা জাতীয় কিছু নয় তা এখন আর কারো অজানা নয় । আদার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে প্রায় সকলেই বেশ ভালভাবেই অবগত আছেন । আদা স্বাস্থ্যের অনেক উপকারিতা রয়েছে।আদা ছোট রাইজোম জাতীয় বীরুৎ। এদের রাইজোম সুগন্ধী ও ঝাঁঝালো স্বাদ।
এর ভিতরের রং ফিকে হলুদ। গাছটি ২ থেকে ৩ ফুট উচু হতে দেখা যায়। এর পাতাগুলি সুন্দর ভাবে সাজানো থাকে। ১০০ গ্রাম আদায় আছে ৮০ ক্যালরি শক্তি, কার্বোহাইড্রেট ১৭ গ্রাম, ফ্যাট ০.৭৫ গ্রাম, পটাশিয়াম ৪১৫ মিলিগ্রাম এবং ৩৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস।আদাতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-সেপটিক, অ্যান্টি-বায়োটিক, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-সিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এগুলি ছাড়াও এতে অনেক ধরণের ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। আদা ঔষধি হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।শারীরিক নানা সমস্যায় আদা খাওয়ার বিষয়টি সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে বেশ দ্রুত ।এমনকি নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস মুক্তি দিতে পারে মারাত্মক বেশ কিছু রোগ থেকে ।
বিশেষ করে শিশুদের জন্য আদা–মধু–জল সুস্থ দেহ ও সতেজ মনের জন্য খুবই কার্যকর।নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করে দেখুন না শারীরিক অনেক সমস্যার সমাধান পাবেন আর এজন্যই আদার গুনাগুন এবং শারীরিক সমস্যা নিরাময়ে আদার ব্যবহার সকলের জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী ।
থানকুনি পাতার উপকারিতা জানতে ক্লিক করুন
আদা কী?
(Ginger in Bengali) আদা একটি খুব ভাল ঔষধি হিসাবে পরিচিত। আদাতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং বি কমপ্লেক্স থাকে। এটি ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সিলিকন, সোডিয়াম, আয়রন, দস্তা, ক্যালসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন জাতীয় খনিজ সমৃদ্ধ। এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
আদার উপকারিতাঃ
১. প্রথম আদার উপকারিতা: বমি ভাব বা বমি হচ্ছে অনেক আদা কুচিকুচি করে চিবিয়ে খান অথবা আদার সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করুন তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে যাবেন।জ্বর জ্বর ভাব এক চা–চামচ আদার রস গরম পানিতে মিশিয়ে চায়ের মতো করে ছয় থেকে সাতবার খেলে জ্বর জ্বর ভাব ভাব কেটে যাবে।
২. উল্টা পাল্টা এবং বেশি ভাজাপোড়া খাবারের কারণে বুকজ্বালার সমস্যা হটাৎ করেই শুরু হতে পারে ।এক কাজ করুন 2 কাপ পানিতে 2 ইঞ্চি আদা ছেঁচে জাল দিয়ে চায়ের মত তৈরী করে পান করুন । বুক জ্বালা কমে যাবে ।
৩.মাইগ্রেনে: – কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন। মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা কমাতে আদা চা খুব উপকারী। আদাতে উপস্থিত ভিটামিন এবং এন্টিহিস্টামাইন উপাদান থাকে বিধায় মাইগ্রেনের ব্যথা উপশমে আদা সাহায্য করে মাইগ্রেনে স্বস্তি দেয়।সাইনাস, গলা ও মাথাব্যথায় তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য সামান্য লবণ দিয়ে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে হবে।
৪. ধমনীতে প্লাক জমে রক্ত প্রবাহ বন্ধের সমস্যাকে বলা হয় অথেরোস্ক্লেরোসিস ।এই মারাত্মক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করলে । প্রতিদিন একটু হলেও আদা খান এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ।
৫.কাশি কমায় । আদা একটি প্রাকৃতিক বেদনানাশক ব্যথা রিলাইভার আছে। যা গলার ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। এটি কাশি হ্রাস করে।চায়ের মতো করে খেলে কাশি কমে, কফ দূর হয়।
৬. অনেক দুর্বল লাগছে? দুর্বলতার কারণ যাই হোক না কেন একটু আদা খেয়ে নিন । অনেকটা শক্তি পাবেন ।এরপর ডাক্তারের পরামর্শ নিন দুর্বলতার কারণ জেনে নিরাময়ে সহায়তা পেতে।
৭ . আদার রস ব্যথানাশক ওষুধের মতো কাজ করে । সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন আদার রস অথবা পান করে নিতে পারেন । দুভাবেই ভালো উপকার পাবেন।এছাড়াও বাতের ব্যথায় যাদের বাতজনিত রোগ রয়েছে। তাদের নিয়মিত আদা খাওয়া উচিত। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা হাড়কে মজবুত করে। বাতজনিত রোগ দূর করে।অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা মূলত এ রোগগুলোর কোনো স্থায়ী সমাধান নেই। শরীরের ওজন ঠিক রেখে, নির্দিষ্ট ব্যায়াম ও দুবেলা এক চা–চামচ করে আদার রস, লেবুর রস, মধু এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে চায়ের মতো করে খেলে এর তীব্রতা কমে।
৮.বসন্ত রোগে- বসন্তের গুটি বের হচ্ছে না, গুটি তাড়াতাড়ি বের হওয়া দরকার, এ অবস্থায় আদা খুবই ফলদায়ক। এক চামচ কাঁচা আদার রসের সঙ্গে সমপরিমাণ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে গুটি তারাতারি বেরিয়ে যাবে।
৯.ঠান্ডা এবং তাপ এড়ানো: – আদা দিয়ে সবাই পরিচিত। এটি ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে খুব উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। ছোট বাচ্চারা যদি শীত অনুভব করে তবে তারা শীত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আদা ব্যবহার করে। এটিতে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুন রয়েছে।
১০ . নতুন আদার সাথে আধা সিদ্ধ ডিম খাওয়ার অভ্যাস পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে ।
১১.হৃদয়ের জন্য: – আদা স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা হার্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। আদাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
১২. প্রাকৃতিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে ভরপুর আদা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করলে ছোটখাটো অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ।
১৩. খেতে ইচ্ছে করছে না বা ক্ষুধামন্দা ভুগছেন ?তাহলে খাবার 30 মিনিট আগে দেখে নিন। এতে ক্ষুধামন্দা দূর হবে এবং খাবারে রুচি ফিরে আসবে। ৯. আদার অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী ।এছাড়াও উষ্ণ গরম পানিতে আদার তেল মিশিয়ে গোসল করলে মাংসপেশির ব্যথা দূর হয় ।
১৪. আদা হজমে সমস্যা সমাধান করে এবং পেটে ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ আদা চা পান করলে কোনদিন পেট ফাঁপা বা বদ হজম থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন । যে কোনও ধরনের মলমূত্র চলছে। এক্ষেত্রে আদা ঔষধি হিসাবে কাজ করে। আদাতে উপস্থিত ভিটামিন বি 6 মলকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি গর্ভবতী মহিলার পক্ষেও উপকারী প্রমাণ করে।
১৫.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: – আদা শরীরের চিনির মাত্রা হ্রাস করে। এটি শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে সহায়তা করে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।আদা ও লেবু মিশ্রিত পানিতে রয়েছে জিঙ্ক যা নিয়মিত পান করলে ডায়াবেটিকের ঝুঁকি কমে।
১৬.ঋতুস্রাবের ব্যাথা দূর করে ।ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথা নারীদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এই ধরণের ব্যাথা খুব কষ্টকর। তাই এ ধরণের ব্যাথা নির্মূল করতে আদা এবং মধুর মিশ্রণ খাওয়া জরুরি। মেয়েদের ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথার সময় ব্যথা কমাতে আদা চা ব্যবহার করা উচিত। আদাতে রয়েছে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ব্যথা উপশম করতে সহায়ক।
১৭.ক্যান্সার প্রতিরোধ: – ক্যান্সার একটি বিপজ্জনক রোগ। আদা ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য খুব উপকারী। আদা এর বৈশিষ্ট্য ক্যান্সার কোষের জন্য মৃত্যু ঘটায়। যা ক্যান্সার এড়াতে সহায়তা করে।
১৮.উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে প্রতিদিন দুবেলা এক চা–চামচ করে আদার রস, লেবুর রস ও মধু এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে চায়ের মতো করে খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে।
১৯.আদামিশ্রিত পানি মেদ দূর করতে সাহায্য করে।আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি সমস্যা হচ্ছে মেদ।কিন্তু জেনে অবাক হবেন, খুব সহজ উপায়ে এবং অতি পরিচিত একটি উপাদানই কমাতে সাহায্য করবে আপনার মেদের সমস্যা। আর এই জাদুকরী উপাদানটি হচ্ছে আদা। চা আমরা প্রতিনিয়তই খেয়ে থাকি। তবে চয়ে দুধ, চিনি থাকলে সেটি আমাদের শারীরিক কিছু ক্ষতি করার পাশাপাশি ওজন বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু আপনি যদি সেটির পরিবর্তে আদা দিয়ে পানি ফুটিয়ে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে চা খানা তাহলে সেটি কমাতে সাহায্য করবে আপনার মেদ। আর চা খেতে না চাইলে শুধু গরম পানিতে আদা আর লেবুর রস ফুটিয়ে খেলেও একই কাজ হবে।
২০.কর্ণবেদনায় আদার রস তিন থেকে চার ফোঁটা ঈষৎ গরম করে প্রত্যহ দুই থেকে তিন বার কর্ণে প্রয়োগ করলে বিশেষ উপকার হবে। দুই থেকে চার দিন নিয়মিত কর্ণে প্রয়োগ করে যেতে হবে।
২১.মাড়ি ফুলে গেলে -দাঁতের গোড়ায় যন্ত্রণা এবং মাড়ি ফুলে গেলে, আধা কাপ হালকা গরম পানিতে দুচামচ কাঁচা আদার রস মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে রাখতে হবে। দিনে দুবার করে তিন দিন প্রয়োগ করলে মাড়ি ফূলা এবং যন্ত্রণা দুই-ই কমবে।
২২. রক্তপাত বন্ধ করতে হবে- শরীরের কোথাও অনেকটা কেটে গেলে কিংবা রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না, এ সময় খানিকটা শুকানো আদার গুড়ো নিয়ে কাটা স্থানে চেপে ধরলে রক্তপাত বন্ধ হবে এবং কাটা স্থানটি তাড়াতাড়ি জোড়া লাগতে সাহার্য করবে।
২৩.ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায় । একাধিক গবেষণায় একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে আদায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারি ভিটামিন, সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যাতে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বুদ্ধিরও বিকাশ ঘটে চোখে পরার মতো। এবার বুঝতে পরেছেন তো নিয়মিত আদা খাওয়ার প্রয়োজন কতটা!সেই সঙ্গে আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ মস্তিষ্কের টিস্যুকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। ফলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ পরে না।
২৪.এছারাও রূুপ চর্চায়ও রয়েছে আদা ব্যবহার। আদা ব্যবহারে মিলবে ৭ উপকার । চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি স্কাল্পের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে আদার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির ভেতরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি চুলকে এতটাই শক্তপোক্ত করে তোলে যে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন-
- আদায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের জৌলুস বাড়ায়।
- খুশকির প্রকোপ কমে।
- চুলের গ্রাথ বাড়াতে কাজে আসে।
- চুল উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পা…
- চুলকে আদ্র রাখে।
- চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
- হেয়ার ফলের মাত্রা কমে ।
২৫. সর্বশেষ আদার উপকারিতা মস্তিষ্কের আলঝেইমার থেকে রক্ষা করতে আদার ভূমিকা অনেক।যাদের আলঝাইমার রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তাদের ডায়েটে আরও আদা যুক্ত করার কথা ভাবা উচিত। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে আদা মস্তিষ্কের কোষগুলির ক্ষয় রোধ করে যা সাধারণত এই অবস্থার পূর্বসূরী। এই মস্তিষ্কের কোষগুলি সংরক্ষণ এবং সুরক্ষার মাধ্যমে আপনি কতটা সময় সুসংগত এবং সজাগ রয়েছেন তা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আরেকটি গবেষণায় আদা নিষ্কাশনকে মেমরি এবং উন্নত প্রতিক্রিয়ার সময়ের সাথে যুক্ত করেছে।
শুকনো আদার উপকারিতাঃ
আদার উপকারিতা এমনিতেই অনেক। এর মধ্যে কেউ যদি শুকনো আদা সংগ্রহ করতে পারে তাহলে সে অতিরিক্ত কিছু উপকারিতা পেতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করা শুকনো আদার আমাদের শরীরেকে শীতল করতে বেশ উপকারি এবং হৃদরোগীদের জন্য ভালো ফলদায়ক। এছাড়াও শুকনো আদা খাওয়ার মাধ্যমে উপকার পেতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীরা, আমাশয়ের রোগীরা। যারা পেটের পীড়ায় ভুগছেন, তারাও শুকনো আদার থেকে উপকৃত হতে পারেন। বুকের ভিতর আটকে থাকা দীর্ঘদিনের কফ দূর করতে শুকনো আদা বেশ উপকারি। মূলত এগুলোই হলো শুকনো আদার উপকারিতা।