অশ্বগন্ধার উপকারিতা:এই অশ্বগন্ধার বৈজ্ঞানিক নাম হল উলানিয়া সম্নিফেরা (Withania somnifera) ।এর ইংরেজী নাম হচ্ছে- poison gooseberry, winter cherry বা, Ashwagandha । তবে এটিকে আর একটা নামেও বলা হয় তা হল ইন্ডিয়ান জিনসেং তার কারণ হল এই জিংসেন টা হল একটা চায়না হার্বস। আর এটা আমাদের গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। পুরো পৃথিবীতে এটি প্রচারিত এবং পরিচিত হয়ে আছে। এই জিংসেন টা সম্পূর্ণরূপে বলপূর্বক এবং পুরুষালী শক্তি বৃদ্ধিকারক একটা হার্বস।এর সঙ্গে পুরোপুরি লড়াই করতে পারবে সবার পরিচিত অশ্বগন্ধা।অশ্বগন্ধার নানা ব্যবহারিক প্রয়োগে সবাই সুস্থ থাকতে পারে। অশ্বগন্ধার মূলের ভেতর থেকে ঘোড়ার মতো গন্ধ বের হওয়ায় এবং এটি ঘোড়ার মতোই বল সম্পন্ন একটি উপাদান বিধায় আয়ুর্বেদিকরা এর নাম দিয়েছেন অশ্বগন্ধা।
অশ্বগন্ধা কি
অশ্বগন্ধা হলো মূলত চিরহরিৎ জাতীয় গুল্ম উদ্ভিদ। অশ্বগন্ধার উপকারিতা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া, নেপাল, ভূটান, পাকিস্থান সহ দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক দেশে অশ্বগন্ধা জন্মায়। এশিয়া মহাদেশ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ইত্যাদি দেশে অশ্বগন্ধা সন্ধান পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বর্তমানে অশ্বগন্ধার গাছগুলোকে পাওয়া যায়।সাধারণত ভেষজ ঔষধ হিসেবে অশ্বগন্ধার উপকারিতা পেতে এর ফুল, মূল, পাতা, ফল, ডালসহ সব কিছুই ব্যবহার হয়ে থাকে। ৩৫–৭৫ সেমি (১৪–৩০ ইঞ্চি) ক্রমবর্ধমান হয়ে গাছটি সাধারণত দুই-আড়াই হাত উঁচু হয় এবং শাখাবহুল থাকে। এতে ছোট ছোট মটরের মতো ফল হয়। ফুল ছোট, সবুজ এবং ঘণ্টা আকৃতির। ফল পাকলে কমলার মতো
কিছুটা লাল হয়।
অশ্বগন্ধার পুষ্টিগুণ
অশ্বগন্ধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ টেস্টোস্টেরণ বৃদ্ধিকারী উপাদান। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি সহ আরো অনেক প্রকার ভিটামিন, যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি। ভিটামিন সহ ক্যালসিয়াম, আয়রণ, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। শরীরের জন্য উপকারি আরো অনেক রকম পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন রয়েছে অশ্বগন্ধতে।
শারীরিক সুস্থ্যতার জন্য আমাদের বাংলাদেশেও অনেক মানুষ অশ্বগন্ধা ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও এর পুষ্টিগুণের ভিত্তিতে ভেষজ ঔষধালয়ে ঔষধ বানিয়ে অশ্বগন্ধা বিক্রি করে থাকে। নানাবিধ শারীরিক উপকারিতায় ভরপুর থাকায় দিন দিন এটি সবার নিকট পরিচিত হচ্ছে পাশাপাশি সুস্থ্যতার জন্য এটির ব্যবহারও বাড়ছে।
রাসায়নিক উপাদানঃ
অশ্বগন্ধার উদ্ভিদের মূল রাসায়ানিক উপাদান হলো এলকালয়েড এবং স্টেরইডাল লেক্টন্স । এছাড়াও এতে আছে উইথেনাইন, সোমনিফেরি, মোনাইন, সোমনিফেরিনিন, এডাপটোজেন, উথেনিনিন, সিউডো ট্রপিন, সিউডো উথেনিনিন ট্রপিন, কোলাইন, এনাফেরিনিন, এনাহাইড্রিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি। এসব রাসায়নিক উপাদান বিভিন্ন ভাবে আমাদের অনেক উপকার করে থাকে।
হোমিওপ্যাথিক অষুধ হিসেবে অশ্বগন্ধা
সিরাপ, ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, হামদর্দ এর পাউডার কত কি বাজারে পাওয়া যায়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থায় এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রাচীন মিসরে এবং মেসোপটেমিয়ায় এই গাছ ঘুমের অসুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
আপনার যদি রাতে ভালো ঘুম না হয়, তাহলে চিনির সাথে অশ্বগন্ধা গুড়া মিশিয়ে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন, এতে ঘুম ভালো হবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। বলকারক হিসেবেও এটি ব্যবহার করা হয়। হোমিওপ্যাথিক অশ্বগন্ধার উপকারিতা হলো-
- চোখের বিভিন্ন রকম অসুখ দূর করে চোখ ভালো করে।
- পেট ব্যথা কমিয়ে ফেলে।
- নিদ্রা দূর করে। শরীর ঠান্ডা করে ঘুম আসে।
- মস্তিষ্ক তথা মন ভালো রাখে।
- শরীরের রক্তের প্রবাহ ঠিক করে।
- ডায়াবেটিসের জন্য বেশ উপকারি।
অশ্বগন্ধার বহুমুখী উপকারিতা:
১। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
সাধারণভাবে যদি কোনো ডায়াবেটিস রোগী তার দেহের রক্তে থাকা অতিরিক্ত পরিমাণ শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাহলে তুলনামূলকভাবে তার ডায়াবেটিসের পরিমাণও কম থাকে। আবার একই ভাবে যদি রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। অশ্বগন্ধা নিজেই একটি উন্নত মানের ডায়াবেটিস প্রতিরোধী মূলক গুল্ম। এটিকে অনেকে বলে অ্যান্টি-ডায়াবেটিস। অশ্বগন্ধা শুধু ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী নন, ডায়াবেটিস রোগীর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবান দেহের রক্তের শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফলাফলসরূপ, মানুষের ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২।পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অশ্বগন্ধা
পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অশ্বগন্ধা স্পার্মের গুণ বা গুনাগুন এবং পরিমাপ দুটোই বাড়াতে সাহায্য করে।
- টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রাটা অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়।
- এমনকি এটা পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা টা কেউ বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
- যেসব পুরুষের স্বপ্নদোষে ভুগছে। তাদের ক্ষেত্রে এটা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
- যদি এক মাস বা ১৫ দিন মত টানা খাওয়া যায়।
তাহলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।.
৩।বন্ধ্যাত্ব নারীর ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার উপকারিতা
এই অশ্বগন্ধার উপকারিতা- বন্ধ্যাত্ব নারীদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এছাড়াও মহিলাদের ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে অশ্বগন্ধা ।
- এই অশ্বগন্ধার কাচা মূল এর অংশ ২৫ গ্রাম মত নিতে হবে।
- তারপর সেটা ৪ কাপ জল আর ১ কাপ দুধের মধ্যে নিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে।
- ফুটানোর পর যখন চার ভাগের এক ভাগ হয়ে গেল তখন সেটা গাওয়া ঘি এর মধ্যে করে ঋতু স্নানের পরের দিন থেকে আবার পুনরায় ঋতুস্রাব শুরু হওয়া পর্যন্ত খেয়ে যেতে হবে। তবেই উপকারিতা পাওয়া যাবে।
৪। ত্বক ভালো রাখে
ত্বকের যত্নে এবং ত্বককে রাতারাতি উজ্জ্বল করতে অশ্বগন্ধা এই ক্ষেত্রে বেশ ভালোভাবে আমাদের উপকৃত করতে পারে। অশ্বগন্ধা হলো প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি শীতকালে আমাদের শরীরকে অত্যাধিক শুষ্ক হওয়া থেকে রোধ করে।
৫। কিডনি সুরক্ষিত রাখে
আমাদের শরীরে যদি কোনো ভাবে কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোন কমাতে পারি, তাহলে কিডনির উপর অনেকটাই চাপ কমে যাবে। অশ্বগন্ধা যেহেতু আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করে নিদ্রা নিয়ে আসে, তখন আমাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোন অনেক কমে যায়। আর এটা কিডনির উপর চাপ পূর্ব থেকে অনেক পরিমাণ কমিয়ে আনে। ফলাফলসরূপ আমাদের কিডনি ভালো থাকে।
৬। আর্থারাইটিস নিয়ন্ত্রণ করে
সাধারণত আর্থারাইটিস এর ফলে আমাদের দেহে প্রদাহ জনিত ব্যথা শুরু হয়। এমতোবস্থায় আমরা অনেক রকম ঔষধ সেবন করে থাকি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে যথাপোযুক্ত কোনো রকম সুফল পাওয়া যায় না ঔষধের মাধ্যমে। আর্থারাইটিস এর ফলে আমাদের দেহের অনেক অংশ ফোলে যায়। অশ্বগন্ধার সেটাও নিয়ন্ত্রণ করে অর্থারৎ দেহের ব্যথা সহ ফোলা কমিয়ে ফেলে।
৭। মানসিক চাপ ও হতাশা দূর করে
মানসিক চাপ ও হতাশা মানুষকে কর্মবিমুখ করে দেয়। তাই শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। দুশ্চিন্তা দূর করতে অশ্বগন্ধা কতটা কার্যকর তার উপর একাধিক গবেষনা চালনো হয়। এখনো পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল অনুসারে অশ্বগন্ধা হতাশা কাটিয়ে মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।যারা মানসিক চাপে ভুগছে।যারা ডিপ্রেশন এর মধ্যে আছে বা ভীষণভাবে যারা চিন্তার মধ্যে আছে। তারা যদি অশ্বগন্ধা খায়। তবে তাদের ক্ষেত্রে, বেশ ভালো উপকার হবে।
৮। যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
নারী ও পুরুষ উভয়ের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে অশ্বগন্ধা। অনেক পুরুষই অনুর্বরতা জনিত সমস্যায় ভোগে। নিয়মিত অশ্বগন্ধা পাউডার সেবন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব। এটি শুক্রাণুর পরিমান বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি টেস্টোস্টেরন বাড়িয়ে যৌন সমস্যা দূর করে।
৯। থাইরয়েড প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়
এটা কোনো রকম বৈজ্ঞানিক ভাবে এখনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি যে অশ্বগন্ধার ফলে থাইরয়েড প্রক্রিয়ার অনেকটাই উন্নতি ঘটে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অশ্বগন্ধা আমাদের শরীরের মধ্যে T14 এর মাত্রা প্রচন্ডভাবে বাড়ায় এবং একই সাথে হাইপোথাইরয়েডিজম বেশ অনেকটাই কমিয়ে ফেলে। যখনই হাইপোথাইরয়েডিজম হ্রাস পায়, তখনই আমাদের থাইরয়েড প্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১০। চুলের যত্নে অশ্বগন্ধা
চুল পড়া, চুলে পাক হওয়া, চুল পেঁকে যাওয়া,চুলের পুষ্টি জোগাতে অশ্বগন্ধা থেকে বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারি। প্রাচীনকাল হতেই চুলের যত্নে অশ্বগন্ধা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চুলের পুষ্টির ঘাটতির জন্য প্রায় সময় চুল ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও চুলের গোড়া দূর্বল হওয়ায় চুল পড়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে চুলের যত্ন সহ চুল পড়া বন্ধ করতে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা যায়।
১১। অ্যান্টি ভেনম হিসেবে কাজ করে
অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে যে, কাউকে যদি সাপে কামড় দিয়ে থাকে, তাহলে সাথে সাথে সে জায়গায় যদি অশ্বগন্ধার প্রলেপ দেওয়া হয়, এতে করে সাপের বিষের বিস্তার রোধ হওয়ার পাশাপাশি যেটুকু সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করেছে তা প্রশমিত হয়ে যায়। এটা কোনো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত নয়। তবে এটা অনেকে করে নাকি সুফল পেয়েছে।
১২ মস্তিষ্ককে স্বাস্থ্যবান করে
আমাদের মস্তিষ্কে পার্কিনসন এবং অ্যালজাইমারের কারণে মস্তিষ্কের স্নায়ুবিক অনেক ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। যা আমাদের সম্পূর্ণ শরীরের বিরূপ প্রভাব পড়ে। এমতোবস্থায় আমাদের এই ক্ষেত্র থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অশ্বগন্ধা বেশ ভালোভাবে উপকার করতে পারে। এটি আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুবিক অনেক ক্ষতি রোধ করার পাশাপাশি মস্তিষ্ককে স্বাস্থ্যবান করে তোলে। যা শরীর তথা শরীরের ভারসাম্যের জন্য বেশ উপকারক।এই ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ আপনার স্মৃতি ধারন ক্ষমতাকেও প্রখর করে। গবেষণা মতে, অশ্বগন্ধা ব্রেনের কাজ করার ক্ষমতা এবং স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি মস্তিষ্কের আলঝাইমার্স এর মত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
১৩। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সারের মত মরণব্যাধি দমন করতে সক্ষম অশ্বগন্ধা। এটি স্তন,ফুসফুস, কোলন,ব্রেন ক্যান্সারের জন্য প্রতিরোধী ভূমিকা পালন করে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। এর বায়োএকটিভ উপাদানগুলো ক্যান্সার কোষ গুলোকে মেরে ফেলে এবং নতুন ক্যান্সার কোষ জন্মাতে বাধা দেয়। নিয়মিত অশ্বগন্ধা খাওয়ার অভ্যাস যাদের আছে তাদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে কম।
১৪। ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে অশ্বগন্ধার উপকারিতা
অশ্বগন্ধার ভেষজ গুনাবলী শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ফলে সহজেই শরীর যেকোন জীবাণুর সাথে লড়াই করতে সক্ষম। তাই আপনার শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত অশ্বগন্ধা খেতে ভুলবেন না।
১৫। ঘুমাতে সহায়তা করে
উত্তেজনা বা হতাশা দূর করে বলে অশ্বগন্ধা আপনাকে পরিমিত ও গভীর ঘুমে সাহায্য করে। এর মধ্যকার উপাদানগুলো ব্রেনে প্রশান্তি বৃদ্ধি করে। ফলে মানসিক চাপ কমে সুন্দর ঘুম নিশ্চিত করে ।
১৬। কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমা্তে অশ্বগন্ধার উপকারিতা
হার্টের সুস্বাস্থ্য অশ্বগন্ধা বেশ কার্যকর। এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে আনে। সেই সাথে কমে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমানও। যা আপনার বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে। প্রতিদিন নিয়ম করে অশ্বগন্ধা খেলে ১৭% অবধি কোলেস্টেরল এর পরিমান কমানো সম্ভব।
১৭। ক্ষত নিরাময়ে তৎপর
প্রাচীনকাল হতেই ক্ষত সারাতে অশ্বগন্ধার ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। শরীরের কোনো স্থান কেঁটে গেলে সেই ক্ষত সহজেই নিরাময় হয় না। কিন্তু এই ক্ষেত্রে এর গুণাগুণ দ্ধারা বেশ ভালোভাবে ক্ষত সারিয়ে তোলা যায় এবং অনেকে বর্তমানে ক্ষত নিরাময়ে এটি ব্যবহার করে থাকে।তবে এটি এখনোও বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত হয় নি। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি প্রমাণিত হওয়ার দরকার রয়েছে। তারপর সবার এটি ব্যবহার বাড়ানোর উচিত।
১৮। হৃৎযন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
শরীরে যখন কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তখন হৃৎযন্ত্র স্বাভাবিক অবস্থাই দূর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও অনেকের হৃৎপিন্ডের পেশিগুলো দূর্বল হয়ে পড়ে, যা হৃৎপিন্ডের অন্যতম একটি অসুখ। অশ্বগন্ধা এই ক্ষেত্রে আমাদের হৃৎপিন্ডের মাংস-পেশিগুলোকে শক্তিশালী করে থাকে। একই সাথে দূর্বলপেশীগুলোকে পুনরায় সতেজ করে তোলে।
১৯। যৌবন ধরে রাখতে অশ্বগন্ধার উপকারিতা
যৌবন ধরে রাখতেও অশ্বগন্ধার উপকারিতা অনস্বীকার্য।টি আপনাকে অনন্তযৌবনা করবে না, তবে যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করবে
২০। ফোড়ায়ঃ ফোড়া না পেকে শক্ত হয়ে থাকলে অশ্বগন্ধার মূল বেঁটে সকাল বিকাল ২ বার করে লাগালে খুব তারাতারি উপকার পাবেন ।
২১। রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ বেশ কিছু গভেশনায় দেখা গেছে নিয়মিত অশ্বগন্ধার রস খেলে শরীরের অন্দরে লহিত এবং শ্বেত রক্ত কনিকার উৎপাদন বেড়ে যায় । ফলে রক্তস্বল্পতা খুব তারাতারি ভাল হয়ে যায় ।
২২। সর্দি কাশিতে অশ্বগন্ধার উপকারিতাঃ
সর্দি কাশি থেকে মুক্তিপেতে অশ্বগন্ধার মূল অত্যান্ত কার্যকরী
২৩। চোখের ব্যথায় অশ্বগন্ধাঃ
চোখের ব্যথা দুর করতে অশ্বগন্ধা বিশেষ উপকারী।.
২৪।শিশুদের রিকেট :
গরুর দুধ ফুটিয়ে ঠান্ডা করে , গাওয়া ঘি আধ চামচ আর সঙ্গে ১ গ্রাম অশ্বগন্ধার শুকনো দল ও শুকনো পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে তারপর ১ বার করে শিশুকে খাওয়াতে হবে। ওই শিশুর রিকেট রোগ সেরে যাবে এবং শিশু ক্রমশ সুস্থ ও সবল হয়ে উঠতে থাকবে।.
২৫। স্বপ্ন দোষে:
রাতে শুতে যাবার আগে এক কাপ গরুর দুধের সঙ্গে ৩ গ্রাম অশ্বগন্ধা গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে রোগটি চিরদিনের মতো ভালো হয়। তবে ওষুধ খাবার পর কুচিন্তা কুঅভ্যাস এবং অশ্লীল দৃশ্য দেখা ত্যাগ করা দরকার।
২৬। বাত ও পিত্ত রোগে :–
অশ্বগন্ধার মূল গুঁড়ো করে তার সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে সকালে ও সন্ধ্যায় খাওয়া উপকারী।